
ওঙ্কার ডেস্ক : পহেলগাঁও কাণ্ডের জবাবে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়েছিল ভারতের সেনাবাহিনী। তার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের সাংগ্রিলা বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান। ওই বৈঠকে ছিলেন পাকিস্তানি সেনার শীর্ষকর্তা জেনারেল শাহিদ সমশাদ মির্জাও। সিঙ্গাপুরের মঞ্চ থেকে দুই দেশের সেনাপ্রধান পরস্পরকে বার্তা দিয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের বৈঠকে ভারতের সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সহ্যের সীমার লাল দাগ টেনে দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযান থেকে আমাদের প্রতিপক্ষ কিছু শিক্ষা নেবে, আশা রাখছি। তাদের এটা বোঝা উচিত যে, ভারতের সহ্যক্ষমতার একটা সীমা আছে।’ অতীতে ভারতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে পাক যোগ উঠে এসেছে। এদিন জেনারেল চৌহান বলেন, ‘গত দু’দশকের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে প্রক্সি ওয়ার চলছে। এর ভুক্তভোগী আমরা। এতে ভারতের বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ বার আমরা এটা বন্ধ করতে চাই।’ অন্য দিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এদিন বলেন, ‘দুই হাতে তালি বাজে। আশা করি, ওরা সেটা বুঝবে।’
উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের হাত ছিল বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। পহেলগাঁও কাণ্ডের জবাবে গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারত। তার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়। অবশেষে গত ১০ মে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়।