
ত্রয়ণ চক্রবর্ত্তী:
এ যেন একা কুম্ভ রক্ষা করার গল্প। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ মিলে তৈরি হয় সংযুক্ত মোর্চা। তাদের যৌথ ব্রিগেডের জনপ্লাবন বিজেপি,তৃনমুলের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল। কিন্তু বিধি বাম। সেই জোটের নির্বাচিত একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এখন বিধানসভায় ঘর সমস্যায় ঘোর সংকটে।
বিধানসভায় অন্যান্য অনেক বিধায়কের থেকে তিনি যে সিরিয়াসলি দায়িত্ব পালন করেন একথা কম-বেশি সবাই মানেন। ২০২১ সালে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে ভাঙর বিধানসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন। জিতেও ছিলেন। কিন্তু বাকিরা কেউ জয়লাভ করতে না পারায় সমস্যায় নওশাদ। একক বিধায়ক হিসেবে জোটেনি কোনও ঘর। ফলে আইএসএফের একমাত্র বিধায়কের আক্ষেপ বিধানসভার অভ্যন্তরে তো মিথ্যা বলা যায় না ফলে কিছু বলতে গেলে পড়াশোনার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পড়বো কোথায়? অধ্যক্ষকে বলেও তো একটা ঘর পেলাম না এতদিনে। তাই কখনও প্রার্থনা রুমে,কখনও বিধানসভার ভিতরে কোথাও বসে করতে হয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ঘরের অভাব, এমন কথা কেউ বলতে পারবে না,তবুও হয়তো নিয়মের বেড়াজালে ঘর নেই নওশাদের। দুপুরের খাওয়ার খান বিধানসভার ক্যান্টিনে। শাসক তৃনমুল হোক বা প্রধান বিরোধী বিজেপি সব বিধায়কদের কাছেই নওশাদ তার লাজুক হাসি ও ব্যবহারের জন্য প্রিয়ই। তবুও কী মস্ত বিধানসভায় আইএসএফ বিধায়কের এই সামান্য সমস্যা মিটবে না? বিধানসভার বন্ধ ধুলোজমা ঘরে সেই প্রশ্নই পাক খাচ্ছে।