
বিক্রমাদিত্য বিশ্বাস,ইসলামপুর:
পারদ নিম্নমুখী হতেই ঘন কুয়াশায় ডেকেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা। এরই জেরে আলুতে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ইসলামপুর মহকুমার বহু চাষি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মহকুমা কৃষিদপ্তর। এই বিষয়ে ইসলামপুরের আলু চাষি প্রভাত সিংহ বলছেন, আলুতে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারপরও রোগ সারছেন না। চাকুলিয়ার আলুচাষি জীবন মণ্ডল বলছেন, আমার জমিতে এখনও ধসা রোগ লাগেনি। তবে ঠান্ডায় আলুগাছের পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রোগের পর্যবেক্ষণ করছেন।
শুক্রবার ইসলামপুর ব্লকের পণ্ডিতপোঁতা ২ পঞ্চায়েতের এলাকার কালনাগিনসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেন ইসলামপুর মহকুমার যুগ্ম উপকৃষি অধিকর্তা শ্রীকান্ত সিনহা তিনি বলেন অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে আলুর গাছের ওপর জল জমে। ।এতে জলদি ধসা ও নাবি ধসা রোগ শুরু হয়ে যায়। শুরুতে এই রোগ বোঝা যায় না। গোটা খেতে ছড়িয়ে পড়ার পরই বোঝা যায়। । চাষিদের উচিত, ধসা রোগ না হলেও নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করা।কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ইসলামপুর গোয়ালপুকুর এক ও দুই এবং করণদিঘী ব্লকে মোট ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।