
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং তার পরবর্তী সময়ে অশান্তির ঘটনায় দায়ের হয়েছে সাতটি এফআইআর। যার মধ্যে পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এ কথা জানান।
পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাদবপুরের ঘটনায় মোট সাতটি এফআইআর রুজু হয়েছে। তার মধ্যে দু’টি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশ করেছে।’ উল্লেখ্য, এই সাত এফআইআর এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপা করেছে তিনটি এফআইআর। দুটি করেছে পুলিশ। ক্যাম্পাসে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে পড়ুয়াদের তরফেও থানায় দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর, চুরি, ছিনতাই, আঘাতের জেরে গুরুতর জখম করার মতো একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। ওয়েবকুপার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর প্রতিরোধ আইনের ৩ এবং ৪ নম্বর ধারা, পশ্চিমবঙ্গ জনশৃঙ্খলা রক্ষা আইনের ৯ নম্বর ধারার পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১৮(১) (বিপজ্জনক অস্ত্র নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা), ৭৪ (মহিলাদের নিগ্রহ), ১২৬ (২) (অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়া), ৩০৪ (ছিনতাই), ৫৪ (অপরাধের সময় উপস্থিত থাকা), ৩(৫) (জোটবদ্ধ ভাবে হামলা) নম্বর ধারা-সহ বহু ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আটচল্লিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ব্রাত্য বসু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বামপন্থী পড়ুয়ারা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে ইন্দ্রানুজ রায় নামের এক ছাত্রের চাপা পড়ার অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সবমিলিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিল আলি নামের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।