
শেখ এরশাদ,কলকাতা : যাদবপুর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই বিতর্কের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চত্বরে সেনার পোশাকে দেখা গিয়েছিল একাধিক জনকে। সেনার পোশাকে আসা এই দলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাদবপুর থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে তারা দাবি করে, মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সদস্য তারা। এরপর ওই সোসাইটির সম্পাদক কাজী সাদেক হোসেনকে তদন্তের জন্য যাদবপুর থানায় ডাকা হলে তিনি আসেননি। পুলিশ অধিকারীরা গোপন সূত্রে খবর পান, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সম্পাদক কাজী সাদেক হোসেন পোর্ট এলাকায় রয়েছেন সেই খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে হানা দেন এবং তাকে শনিবার রাতে তাকে আটক করে যাদবপুর থানায় নিয়ে আসে।সেখানে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করে যাদবপুর থানার পুলিশ। এরপর রবিবার তাকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। এদিন কাজি সাদেক হোসেনের আইনজীবী, সত্যেন ধানুকা জানান, উনি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার, উনি সেই কাজের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তার জন্য উনি আগে নোটিশ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে, বলে জানান আইনজীবী।
অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী সৌরেন ঘোষাল জানান , আদালতের কাছে আমরা জানিয়েছি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তথ্য-প্রমাণ লোপাটের জন্যই এভাবে আসার সম্ভাবনা।
দুই পক্ষের আইনজীবির দীর্ঘ সওয়াল জবাব শুনে ধৃত কাজি সাদেক হোসেনকে ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।