
নিজস্ব সংবাদদাতা : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণকে ঘিরে ফের শুরু হয়ে গেল রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতির জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সরাসরি দায়ী করলেন রাজ্যপালকে। ব্রাত্য বলেন,’ ‘উনি বালখিল্যপনা করছেন’
ব্রাত্যর কথায়, “রাজ্যপাল যাদবপুরে স্থায়ী উপাচার্য দিতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রী তো তালিকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা গ্রহণ না করে যাদবপুরে অচলাবস্থা তৈরি করলেন। যা করছেন, তাতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বালখিল্য আচরণ করছেন।” যদিও এ ব্যাপারে রাজ্যপালের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘রবীন্দ্রভারতী থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যে ভাবে অচলাবস্থার এগিয়েছে, যাদবপুরও সেই পথে এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তালিকা থেকে এক জনকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা যেত। রাজ্যপাল সেটা করলেন না। উল্টে অচলাবস্থা তৈরি করলেন।’’
ভাস্কর গুপ্ত কে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অব্যাহতি দেয়া হলো। ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল কিন্তু তার আগেই উপাচার্য পথ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হলো। সেই কারণেই ব্রাত্য বসু বলেন কদিন আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কে চিঠি দিয়ে মেয়াদ শেষের আগে স্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল।কিন্তু সেই চিঠির কোন গুরুত্ব দেয়নি রাজ্যপাল।
এ কারণে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। তারই মাঝে নতুন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দুপক্ষের মতান্তরে শুরু হয়েছে সংঘাত।
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধ্যাপক পদে ভাস্কর গুপ্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা । কিন্তু ২৭ মার্চ রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, ভাস্কর গুপ্ত উপাচার্যপদে আর থাকছেন না।
রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই বিজ্ঞপ্তি জারির সময় থেকেই তা কার্যকর হবে। আচার্যের অনুমোদনে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে।’’
ভাস্কর গুপ্ত রাজভবনের নির্দেশিকা পাওয়ার পর বলেন ‘‘২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চার দিন আগে এই চিঠি দেওয়া হল। ৩১ তারিখ পর্যন্ত আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে থাকব। আমি যত দিন উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলাম, যাদবপুরের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করেছি।’’