
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : ডুয়ার্সের চা বাগানে টানা কয়েকদিন ধরে চিতাবাঘের দাপট। ছাগল, মুরগি হঠাৎ উধাও। বাগানের ভেতর থেকে ভেসে আসত গর্জন। একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অবশেষে বনদপ্তরের তৎপরতায় খাঁচা বন্দি হল দুটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ।
প্রথম ঘটনা চুলশা চা বাগানের। বাগানের ১০ নম্বর সেকশনে বনদপ্তর খাঁচা বসায় ছাগল টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। কয়েকদিন ধরে বাগানে চিতার গতিবিধি নজরে আসছিল। রবিবার ভোরে সেই খাঁচাতেই ধরা পড়ে এক পূর্ণবয়স্ক চিতা। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই চিতাটিকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বানারহাট ব্লকের হলদিবাড়ি চা বাগানেও একই ছবি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চিতাবাঘ প্রায় রোজই বাগানে ঢুকে পড়ছিল। কখনও ছাগল, কখনও মুরগি নিয়ে চলে যাচ্ছিল গভীর জঙ্গলে। আতঙ্কিত শ্রমিকেরা বনদপ্তরের দ্বারস্থ হন।
ফলে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের তরফে প্রায় পাঁচদিন আগে ডিবিআইটি অফিসের কাছে বসানো হয় খাঁচা। রবিবার সকালেই ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। বিন্নাগুড়ি থেকে আসা বনকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার পর চিতাটিকে নিরাপদ স্থানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
ঘটনার পর কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চা বাগানের শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশা, বনদপ্তরের এই দ্রুত পদক্ষেপে বাগান এলাকায় আবার ফিরে আসবে স্বাভাবিকতা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, চিতা একটি নয়— এলাকায় আরও কয়েকটি চিতাবাঘ ঘোরাফেরা করছে। তাই বনদপ্তরকে আরও নজরদারি চালানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।