
জলপাইগুড়ি, উজ্জ্বল হোড় : খাটে পড়ে টাকার বান্ডিল ! তৃণমূলে যোগ দিতে আদিবাসী পঞ্চায়েত সদস্যাকে প্রলোভন দিচ্ছে শাসক নেতারা ! টাকার ছবি সহ কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল সিপিএম। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন করলা ভ্যালি চা বাগানের চা শ্রমিক রুবিনা মুন্ডা। তিনি ওই চা বাগান থেকে সিপিএম দলের একজন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা. সিপিএমের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে রুবিনাকে তৃণমূলে যোগদান করাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। কিন্তু চাপের মুখে নতি স্বীকার করেন নি তিনি।
তাদের আরও অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ রুবিনার বাড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় ৩০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। তারপর তারা জোর করে ঘরে ঢুকে তাদের বিছানায় নোটের বান্ডিল ফেলে দিয়ে বলে ,“টাকা দিচ্ছি। আমাদের নির্দেশ মতো কাল তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবি। নইলে বিপদ আছে’। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন রুবিনা। এরপর তিনি বিষয়টি সিপিএম নেতাদের জানিয়ে দিলে রাতেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম প্রার্থী।
এ বিষয় সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন বলেন, ‘ধমক চমকে কাজ হয়নি। এখন ভোটের মুখে একজন বামপন্থী আদিবাসী মহিলা প্রতিনিধিকে টাকার প্রলোভন দিয়ে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা’।
বিষয়টিকে সাজানো ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বক্তব্য, ‘তৃণমূলের অবস্থা এতটা করুণ হয়ে যায়নি যে সিপিএম নেতাকে টাকা দিয়ে দলে আনতে হবে’।
এই ঘটনায় বিজেপির তীব্র কটাক্ষ,এটা সিপিএম এবং তৃণমূলের ভোট প্রচারের কৌশল। লোকসভা ভোটের আর মাত্র কয়েকটাদিন বাকি. তার আগে জলপাইগুড়িতে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর.