
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়ি : কয়েক মিনিটের ঝড় ! আর সেই ঝড়েই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তৃর্ণ এলাকা। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম। নিজেদের গ্রামটাকে যেন চিনতেই পারছেন না বাসিন্দারা। ঝড়ের রাতেই পরিস্থিতি পরিদর্শনে সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেন আহতদের সঙ্গেও।
তাণ্ডবের দুদিন অতিক্রান্ত. আজ কেমন আছে বার্নিশ গ্রাম? কেমন আছেন সেখানকার মানুষ? জানতে সেখানে পৌঁছে গেলেন ওঙ্কার বাংলার প্রতিনিধি।
চারিদিকে ঝড়ের চিহ্ন এখনও স্পষ্ট। তছনছ হয়ে গেছে ঘরবাড়ি। এলোমেলো হয়ে পড়ে রয়েছে আসবাবপত্র। মাথার ছাদ হারিয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তবে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন তাঁরা. ঝড়ের তীব্রতায় বাড়ির ছাদের যে টিন উড়ে গিয়েছিল, সেই জায়গায় প্লাস্টিক লাগিয়ে তার নিচেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত রায়কে পরিস্থিতির কথা জিজ্ঞেস করা হলে, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। পৌঁছয়নি সরকারি ত্রাণ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে জুটছে খাবার। এখনও পর্যন্ত নেই বিদ্যুৎ.
এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখে স্তম্ভিত বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। গ্রাম বাসীদের দুঃখ দুর্দশার কথা ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং উপ রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি।