
উজ্জ্বল হোড়,জলপাইগুড়ি:
জলপাইগুড়ির সুপ্রাচীন বৈকুণ্ঠ পুর স্টেট দুর্গা পুজো দেখতে যাওয়া মানেই এক ঐতিহাসিক রীতিনীতির সঙ্গী হওয়া। ৫১৪ বছরের পুরনো এই পুজো দেখতে আজও ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ ।
রবিবার যথাযথ মর্যাদায় এখানে সম্পন্ন হলো মহা অষ্টমীর পুজো।৫১৪ ধরে কুষ দিয়ে নরবলি দেওয়ার প্রথা আজও বর্তমান জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠ পূর স্টেট দুর্গ পুজোয় , পুজোর ফাঁকে রাজপরিবারের সদস্য প্রনেত বসু বলেন, একসময় কুচবিহারের বিশ্ব সিংহ এবং জলপাইগুড়ির শিশু সিংহ এই পূজোর প্রচলন করেন।
এবং সেই কালে শিশু সিংহ তারই এক অনুচরকে মায়ের কাছে উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত হন, সেই সময় যেহেতু বিশ্ব সিংহ এই পুজো শুরু করেছিলেন তিনিই তখন সেই নরবলি দেন কুষ দিয়ে।এবং মা সেই বলি গ্রহণ করেন।
সেই থেকে আজও সেই রীতি চলে আসছে, রাজবাড়ীর পুজোয়। এছাড়াও এখানে একটি বিশেষ পুজো করা হয়।যাকে অর্ধ রাত্রির পুজো বলে ।এই পুজোতে সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ ।এই পূজোয় চাল দিয়ে বানানো মানুষ কে বলি দিয়ে মাকে উৎসর্গ করা হয়।অপরদিকে নতুন প্রজন্মের সদস্য রাজবাড়ীর পুত্রবধূ লিন্ডা বোস এই পুজো প্রসঙ্গে বলেন। আজ অষ্টমীর পুজো সঙ্গে অঞ্জলী এবং সন্ধ্যায় সন্ধি পুজো, রাজবাড়ীর যে বিশেষ পুজো সেটি সপ্তমীর অর্ধ রাতেই সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার নবমীর দিন রাজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশেষ হোম যজ্ঞ হবে, দশমীতে রথে চড়ে মায়ের বিসর্জন।এই পুজো দেখতে আজও ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ।জলপাইগুড়ির রাজ বাড়ির পূজো আজও সমান ভাবে দাগ কাটে উত্তরবঙ্গে জনপদের একটি বড় অংশের মনে।