
অরিজিৎ চক্রবর্তী: জন চেতনা যাত্রা ষষ্ঠ দিনে বাংলা ছেড়ে প্রবেশ করলো ঝাড়খন্ডে। আসানসোলের অদূরে বারাবনী থানার দোমাহানী গ্রাম থেকে পদযাত্রা করে বাজারে সভা করার পরে যাত্রা এগিয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের দিকে। মাইথন বাঁধকে ডানদিকে রেখে যাত্রার গাড়ি এগিয়ে যায় গোলকডিহির কয়লা খনির দিকে। এই যাত্রার অন্যতম সহযোগী সংগঠন মার্ক্সিস্ট কো অর্ডিনেশন কমিটির ইউনিয়নের অন্তর্গত খনি শ্রমিকদের কাছে গিয়ে পৌঁছয় জন চেতনা যাত্রা। গোলক ডিহির খোলা মুখ কয়লা খনি লাগোয়া ইউনিয়ন অফিসের সামনের খোলা জায়গায় সভায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। যাত্রায় অংশগ্রহণকারিদের অভিজ্ঞতায় যেমন সংযোজিত হল একটা অধ্যায় তেমন জন চেতনা যাত্রার বার্তায় শ্রমিকদের মধ্যে উৎসাহ সঞ্চারিত হয়। দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা হয় ইউনিয়ন অফিসেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই অঞ্চলে খনি শ্রমিকদের মধ্যে এ কে রায়ের নেতৃত্বে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এই ইউনিয়ন কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠনের অন্যতম নেতা প্রয়াত বিধায়ক গুরুদাস চ্যাটার্জি কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের নিয়ে সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন। তিনি ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল মাফিয়াদের হাতে খুন হয়ে যান।
তারই নির্বাচনী ক্ষেত্র নিরসায় যাত্রা এসে উপস্থিত হয় সন্ধ্যায়। রাত্রিবাসের ব্যবস্থা হয় নিরসার পার্টি অফিসে। অন্য একটা ছোট টিম ধানবাদের শহীদ রণধীর বার্মা চকে আর একটি সভায় উপস্থিত হয়। আয়োজক ছিল ঝাড়খণ্ড নারী একতা মঞ্চ, কোল মাইন্স মজদুর ইউনিয়ন, ভারতীয় জন সংসদ। সময়ে পৌঁছতে না পারার জন্য নীরসায় আয়োজিত সভাটা বাতিল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নীরসার রাস্তায় মিছিল সহযোগে পরবর্তী গন্তব্য বোকারোর দিকে এগিয়ে যাবে জন চেতনা যাত্রা।