
অরূপ ঘোষ,ঝাড়গ্রাম: এক অভিনব লক্ষ্মীপূজো যেখানে প্রাধান্য পায় আটার তৈরি জিলিপি। আর এ জিলিপি যে সে জিলিপি নয় একেবারে মহার্ঘ্য জিলিপি, যার দোকান দিতে খরচ করতে হয় লক্ষাধিক। ঝারগ্রামের ১৬২ বছরের পুরনো লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে অভিনব জিলিপি মেলার আয়োজন। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীপুজো বাদ যায়নি বারোয়ারি পুজো গুলিও। ধুম ধামের সাথে বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ্মী আরাধনায় ব্রতী মানুষ। এমনই এক লক্ষ্মীপূজো ঝাড়গ্রামে তবে এক্ষেত্রে রয়েছে এক অভিনবত্ব।ঝাড়গ্রামের হাড়দায় লক্ষ্মীপূজোর বিশেষ আকর্ষণ জিলিপির মেলা। এই মেলা ঘিরেই স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রামের লক্ষ্মীপুজো ১৬২ বছরের পুরনো। দেবী লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে একই আসনে রেখে পুজো করা হয়। আর এই লক্ষ্মীপুজাকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিন ধরে বসে মেলা। মেলার বিশেষ আকর্ষণ জিলিপি। মেলার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান থাকলেও জিলিপির দোকান থাকে মাত্র একটি। তাও আবার নিলামের মাধ্যমে সেই জিলিপির দোকানের বরাত নিতে হয় ব্যবসায়ীকে। রয়েছে আরও শর্ত। যে ব্যবসায়ী বরাত নেবেন তাঁর পদবী সাহা বা মণ্ডল হওয়া বাধ্যতামূলক। এই বছর ২লক্ষ ৯০হাজার টাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদিন হাড়দায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজোর উদ্ধোধন করলেন বেলপাহাড়ীর এসডিপিও শ্রেয়া সরকার, বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের বিডিও সুমন ঘোষ, বিনপুর থানার আইসি স্বরূপ বসাক, সহ অন্যান্যরা। সাড়ম্বরে লক্ষ্মী আরাধনা সহ মেলার টানে এই পুজোয় ভিড় জমান বহু মানুষ।