
নিজস্ব সংবাদদাতা : দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে গিয়ে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে কারেগুট্টা পাহাড়ে নকশালদমন অভিযানে আহত নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। ওই অভিযানে ৩১ জন নকশালবাদীর মৃত্যু হয়।
X হ্যান্ডেল-এ অমিত শাহ বলেছেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের শৌর্য্যের মাধ্যমে দেশ থেকে নকশালবাদ মুছে দিচ্ছে। আজ দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে গিয়ে আহত নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছি। তাঁদের বলেছি, গোটা দেশ তাঁদের জন্য গর্ববোধ করছে”। অমিত শাহ আরও বলেন, “এই বীর সৈনিকরা ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে টানা ২১ দিন ধরে অভিযান চালিয়ে ৩১ জন নকশালবাদীকে মেরেছেন। সারা দেশ তাঁদের সাহস ও বীরত্বের জন্য গর্বিত”।
ছত্তিশগড় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে নকশালদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি কারেগুট্টালু পাহাড়ে ২১ দিন ধরে ২১টি এনকাউন্টারের পর উদ্ধার করে ৩১ জন নকশালপন্থীর মৃতদেহ। যার মধ্যে ১৬ জন মহিলা নকশালপন্থীও। এ পর্যন্ত ২৮ জন নকশালপন্থীকে শনাক্ত করা গেছে, যাদের জন্য মোট ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ২১ এপ্রিল ১১ মে পর্যন্ত চলা এই নকশাল-বিরোধী অভিযান এযাবৎ সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্।
নকশালদের শক্ত ঘাঁটি সুকমা এবং বিজাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা, যার মধ্যে রয়েছে পিএলজিএ ব্যাটালিয়ন, সিআরসি কোম্পানি এবং তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটির মতো সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন, বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্যাডারেরও আবাস। এই এলাকায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনী অসংখ্য নতুন নিরাপত্তা শিবির গড়ে তোলে। গত আড়াই বছরে নকশালরা এই এলাকায় তাদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি গড়ে তোলে। যেখানে পিএলজিএ ব্যাটালিয়নের কারিগরি বিভাগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা সহ প্রায় ৩০০-৩৫০ জন সশস্ত্র ক্যাডার আশ্রয় নিয়েছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে আহে থেকেই সব্রকম আটঘাট বেঁধে এই অভিযানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ২১৪টি নকশাল আস্তানা এবং বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তল্লাশির সময় মোট ৪৫০টি আইইডি, ৮১৮টি বিজিএল শেল, ৮৯৯টি কোডেক্স, ডেটোনেটর এবং বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ১২,০০০ কিলোগ্রাম খাদ্য সরবরাহও উদ্ধার করা হয়েছে। ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে, নিরাপত্তা বাহিনী এখনও সমস্ত আহত বা নিহত নকশালদের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।