
প্রদীপ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর : সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুশীলন খাতার মলাট বদলে সেগুলি বিতরণ করা হল বেসরকারি সংস্থা সময় এবং সংবাদের তরফ থেকে । ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে কাঁথি শহরে। জানা গেছে, একটি সাপ্তহিক সংবাদপত্রের ব্যানারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁথি শহরের কিশোরনগরে আয়োজন করা হয়েছিল শারদ উৎসব ।সেই উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র, পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী হিসেবে সেখানেই মলাট বদলে ফেলা সরকারি অনুশীলন খাতা বিতরণ করা হয়। শতাধিক পড়ুয়ার মধ্যে বিতারিত এই খাতাগুলির প্রতি পাতায় বিদ্যমান জলছবি এবং লেখা রয়েছে, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই অনুশীলন খাতাগুলি মাধ্যমিক স্কুলের পড়ুয়াদের দেওয়া হয়ে থাকে। তবে, এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সরকারি শিক্ষাসামগ্রী ঘুরপথে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অভিযুক্ত সংস্থার থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি এই ব্যাপারে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তর। অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চর্চাও শুরু হয়েছে।সংবাদপত্রের ব্যানারে এই বার্ষিক শারদীয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তার সম্পাদকের ছেলে অয়ন জানা যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৈরি জয়ী ব্যাণ্ডেরও সদস্য তিনি। কাঁথি পিকে কলেজের ছাত্র ভর্তিতে কাটমানি আদায়ের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অয়নের। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও তাঁর সংগঠনের রাজ্য নেতা সুদীপ রাহা, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ, পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবরু রহমান, এগরা বিধায়ক তরুন কুমার মাইতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ফলে এই ঘটনায় শাসকদলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, ঘটনার তদন্তেরও দাবি তুলছেন তাঁরা।