
নিজস্ব প্রতিনিধি: মাদপুরের বিখ্যাত মন্দির জাগ্রত মনসা মায়ের মন্দির। যার স্থাপনের কাহিনীর সঙ্গে জড়িত নানান রকম অলৌকিক ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,তখন ১৮৮৯ সাল খড়গপুর স্টেশন ঢোকার আগেই জকপুর আর মাদপুর স্টেশনের মাঝে ছিল বেশ কিছুটা ফাঁকা জায়গা। পুরো জায়গাটা জুড়ে ছিলো মাঝারি ঘনত্বের জঙ্গল আর লম্বা ঘাস। গাছ আর ঘাসের জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে শুরু হবে রেল লাইন পাতার কাজ। ঘাসের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময়ই ওই স্থানে আবির্ভাব হয় মা মনসার স্তূপ। তবে রেল লাইনের কাজের জন্য এটা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তারপরেই কাজের ক্ষেত্রে একের পর এক বিঘ্ন আসতে থাকে। রেললাইন পাতার কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের মা স্বপ্ন দেখান কাজ না করতে। তবে সেই আদেশ মানতে চাননি সাহেব। সেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই প্রত্যেকের অস্বাভাবিক রকমের শরীর খারাপ হতে থাকে। কাজ কোনো ভাবেই এগোনো যায় না এই জায়গায়। এরপর লাইন সোজাসুজি না করে একটু দূর দিয়ে কার্ভ করে পাতা হয়। ফলে সস্থানে বিরাজ করতে থাকে মা মনসার স্তূপটি। এরপর সেই জায়গায় এক জমিদারের বাড়ি নির্মাণের পরও সেই একই রকম বিঘ্ন দেখা দেয়। জমিদার মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণ করেন। কিন্তু সেই মন্দিরের ছাদ নির্মাণে বিভিন্নভাবে বিপর্যয় আসায় ফাঁকা ছাদের মন্দিরেই বিরাজ করে মায়ের মন্দির।
এই জাগ্রত মন্দিরে বহু ভক্তেরা আসেন তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য।
ভক্তেরা জানান,এখানে এসে সকলের মনস্কামনা পূরণ হয়। সারা বছরই এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।