
শেখ ইরশাদ, কলকাতাঃ পেটকাটি,চাঁদিয়াল,মোমবাতি, বক্কা। হ্যাঁ ঘুড়ির কথাই হচ্ছে। কেন হচ্ছে তা আশা করি আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। স্মৃতির পাতার ধুলো একটু সরালেই মনে আসবে শিওরে বিশ্বকর্মা পুজো। ঘুড়ি ওড়ানোর দিন। আগের দিন কাঁচের গুড়ো,আঠা দিয়ে মাঞ্জা সুতো তৈরি করে, পরদিন কাকভোর থেকে ছাদে বা মাঠে শুরু প্রতিযোগিতা। আবহাওয়া টানটান থাকলে আকাশ ছেয়ে চলা ঘুড়ির টানামানি। কাটাকুটির খেলা। তবে সময় গেছে ইন্টারনেট,ওয়েব সিরিজ,সোশ্যাল মিডিয়া স্মার্ট ফোনের হাত ধরে ঘুড়ি ওড়ানোর এখন অনেকটাই আনস্মার্ট,অনেকটা ব্যাকডেটেট। ক্রেতা দিব্যেন্দু থেকে বিক্রেতা শুভেন্দু একবাক্যে স্বীকার করছে সেকথা। যদিও তার মধ্যেও আছে দু-একজন যারা পুরোনো ঐতিহ্য এখনও রেখেছে ধরে।
বিশ্বজিৎ মন্ডল যেমন এখনও হাজার দুয়েক টাকার ঘুড়ি কেনে। একসময় ছিল বিশ্বকর্মা পুজোর বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকলে মুখভার হত ওপাড়ার পলটু থেকে এপাড়ার লাল্টুর,কেন,আরে ওই যে ছেদ পড়বে ঘুড়ি ওড়ানোয়,নিঃশব্দ সময় সকাল থেকে দ্রুত দুপুর বিকেলের দিকে চলে যাবে। আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হত পাড়ার ছেলেদের। মন খারাপ হত গোটা পাড়ার। এখন অবশ্য পাড়াগুলোর আর মন খারাপ হয় কমই। কারণ পাড়াগুলো,কারণ ঘুড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি,ছোটাছুটির ইচ্ছে এখন অনেকটাই যে কমেছে। অন্তত আম জনতার বড় অংশের অভিমত তেমনই।