
অমিত কুমার দাস, কলকাতাঃ পাঁচ বছরের কর্মজীবন থেকে উধাও নয় নয়টি মাস! ঘটনা টি ঘটেছে জয়ন্ত বর্মন নামে এক শিক্ষকের সঙ্গে। কিন্তু কেনও! কারণ নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি উত্তর দিনাজপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক। এবার হাই কোর্টের ভর্ৎসনা মুখে স্কুল পরিদর্শক। স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকায় প্রশ্ন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে ওই শিক্ষকের সার্ভিস রেকর্ডে বাদ দেওয়া নয় মাস যুক্ত করতে হবে। সঙ্গে, তাঁর প্রাপ্য বকেয়া বেতনও জয়ন্ত বর্মনকে অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাকারী আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, “২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন জয়ন্ত। ২০১৯ এর জুলাই মাসে তাঁর বদলির নির্দেশ আসে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদুন্দা অলোকতীর্থ বিদ্যাপীঠে বদলি হয়ে যান মামলাকারী জয়ন্ত বর্মন। সেখান থেকেই তাঁর কর্মজীবনের সময় হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু তার আগের ৯ মাসের কর্মজীবন তার সার্ভিস রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী, রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কাজ করার সময় ওই ৯ মাসের বেতনও দেওয়া হয়নি। অধিকার চেয়ে জয়ন্ত বর্মন দ্বারস্থ হন হাই কোর্টে।
কারণ জানতে উত্তর দিনাজপুরের স্কুল পরিদর্শককে তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন মলা ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। আদালতে হাজির হয়ে স্কুল পরিদর্শক জানান, “প্রথম স্কুলে একাদশ-দ্বাদশের অঙ্কের কোনও পোস্ট ছিল না তাই তাঁর নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।” এর প্রেক্ষিতে স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। আদালতের প্রশ্ন, “শিক্ষক তো নিয়োগপত্র পেয়েই শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন, আর আপনারাই তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিলেন, তাহলে তাঁর অনুমোদন দেননি কেন?” বিচারপতি আরও জানতে চান, “ওই স্কুলে একাদশ-দ্বাদশে পোস্ট নেই জেনেও কেন তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল?” কিন্তু আদালতের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি দিনাজপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক। সরকারের আইনজীবী ভুল সংশোধনের আশ্বাস দেন আদালতে। আবিলম্বে ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।