
শঙ্কু সাঁতরা, কলকাতাঃ ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ। সাত বছরের শিশু গিয়েছিল আবর্জনা ফেলতে। তারপর মেয়েটি আর বাড়ি ফেরেনি। বিস্তর খোঁজার পর পাশের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় ওই শিশুর রক্তাক্ত মাখা দেহ।
বুধবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত অভিযুক্তকে অলোক কুমার সা’কে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর নজর ছিল বৃহস্পতিবারের সাজা ঘোষণার দিকে। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত দোষী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড সাজা ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ২০২৩-এর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাটিকে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। ঘটনায় ৪৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়।
২৪ জুলাই, ২০২৩ থেকে এই মামলার ট্রায়াল শুরু হয়। ২৬ মার্চ, ২০২৩, মায়ের কথা অনুযায়ী আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল সাত বছরের ওই খুদে মেয়েটি। তারপর সে আর তাঁর মায়ের কোলে ফেরেনি। শিশু না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করে। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি। তল্লাশি চালানো হয় পুরো এলাকায়, শিশুর প্রতিবেশিদের বাড়িতে। তারই এক প্রতিবেশীর বাড়িতে, সিলিন্ডারের পিছনে উদ্ধার হয় বস্তার মধ্যে এক নিথর শিশুর রক্তাক্ত দেহ। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল গোটা শহর। ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, অভিযুক্তকে যৌন নিগ্রহ, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা, মৃতুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।