
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুর্নীতির অভিযোগ এলে দ্রুত মামলার তদন্ত করে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। নাহলে কখনই দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা যাবে না। কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষের জামিন মামলায় সোমবার এজলাসে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। এদিন কুন্তল ঘোষের আইনজীবী আদালতে জানান এক বছরের ওপর জেলে বন্দি রয়েছেন কুন্তল ঘোষ। তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না সিবিআই। কুন্তলের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাব রয়েছে।
নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবী বলেন আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই। ওকে জামিন দেওয়া হোক। এরপরই বিচারপতি বাগচি মন্তব্য করেন কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটাই দুর্নীতির পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ। কুন্তল ঘোষ বা এই ধরনের অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস নেই। CBI এবং ED র একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমি যদি কোন জনপ্রতিনিধির নাম করে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করি সেটাই একটা অপরাধ। সেই জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে না নেই সেটা কোনও বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। এদিন ED, CBI কে উদ্দেশ করেও কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি বাগচি। তিনি বলেন দুর্নীতি দমন আইনের ধারা যুক্ত করার ক্ষেত্রে হয় তদন্তকারী আধিকারিকরা অজ্ঞ আর নয়তো তারা অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন। আপনারা অভিযুক্তদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থার যদি এই ভূমিকা হয় তাহলে আদালত সেটা হালকা ভাবে দেখবে না। ED – CBI কে উদ্দেশ করে মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। এরপরই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন অযথা তদন্ত বিলম্বিত করে মানুষের স্মৃতি থেকে এই ঘটনা মুছে দেবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে উপহাসে পরিণত করবেন না। পাশাপাশি এদিন কুন্তল ঘোষ ও নীলাদ্রি ঘোষের জামিন মামলায় সিবিআই-এর কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলো হাইকোর্ট। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে. তা বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ সপ্তাহ পর ১ এপ্রিল।