
নিজস্ব প্রতিনিধি,ওঙ্কার বাংলাঃ উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে হবে। এই দাবিতে এবার একজোট হল কামতাপুর প্ৰোগ্ৰেসিভ পাৰ্টি (কেপিপি), বিমল গুরুং-এর গোৰ্খা জনমুক্তি মোৰ্চা এবং আদিবাসী সংগঠন জয় বিরসা মুন্ডা উলগুলান।
দার্জিলিংয়ে গোৰ্খা জনমুক্তি মোৰ্চার শিঙিমারির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেপিপি, গোৰ্খা জনমুক্তি মোৰ্চা এবং জয় বিরসা মুন্ডা উলগুলানের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টানা বৈঠকের পর কেপিপি, গোৰ্খা ও আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্ব আলাদা রাজ্যের দাবিতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের এক মত পোষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কেপিপির সভাপতি অধীরচন্দ্র রায়, সহ সভাপতি বুধারু রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুলিন রায়, গোৰ্খা জনমুক্তি মোৰ্চার সভাপতি বিমল গুরুং, সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, গোৰ্খা যুব কমিটির সভাপতি রমন রাই, জয় বিরসা মুন্ডা উলগুলানের পক্ষে সভাপতি কমল কুজুর সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তিনটি সংগঠনের সকল নেতৃত্ব একসঙ্গে স্বীকার করেন, উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করতে চাইলে একজোট হতে হবে এবং একটি-ই লক্ষ্য রাখতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে মরিয়া। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে, যার যেখানে শক্তি বেশি তারা সেখানে প্রার্থী দেবেন, বাকিরা সমর্থন করবে। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী দেবে আদিবাসী সংগঠন, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে কামতাপুর প্ৰোগ্ৰেসিভ পাৰ্টি এবং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে গোৰ্খা জনমুক্তি মোৰ্চা। উত্তরবঙ্গে বাকি চারটি আসনে কে কোথায় প্রার্থী দেবেন তা পরবর্তী বৈঠকে ঠিক হবে বলে সুত্রের খবর। আরও জানা গিয়েছে, মালদার দুটি আসন সহ বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ আসনে লড়াই করতে চাইছে কেপিপি।