
নিলয় ভট্টাচার্য,কল্যাণী : লক্ষীপুজোর দিন হাড়হিমকাণ্ড কৃষ্ণনগরে. বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় নিহত ছাত্রীর মৃতদেহ. ম্যাজিস্টেরটের উপস্থিতিতে হবে পোস্ট মর্টেম. খুনই করা হয়েছে তরুণীকে ? শারীরিক নির্যাতনের শিকারও কি হয়েছে মেয়েটি? উত্তর মিলবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে. এদিন মর্গের সামনে মৃতদেহ নিয়ে আসতেই বিক্ষোভ দেখায় ডি ওয়াই এফ আই। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার. তিনি জানান, ধৃত যুবক রাহুল বসুকে সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত. তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ.
পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে যার নেতৃত্বে রয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিশের সুপার. ঘটনার নেপথ্যে সম্ভাব্য কারণগুলি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে. এছাড়াও, এই তদন্তে সিআইডি-র সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ
উল্লেখ্য, বুধবার পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরেই মিলেছিল এই তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ. এই ঘটনায় আগেই তার প্রেমিক ও তার মা-বাবাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ. এবার পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে মৃতের পরিবার. মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা. চোখে জল নিয়ে জানাচ্ছেন, কষ্ট করে ফুল বিক্রি করে মেয়েকে বড় করেছি. মেয়ের এই পরিণতি যে বা যারা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই.
হাই সিকিউরিটি জোনে কীভাবে এমন ঘটনা? একদিকে এসপি অফিস, আরেকদিকে সার্কিট হাউস. আর তার মাঝেই কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামের কাছে উদ্ধার হয়েছিল যুবতীর অর্ধদগ্ধ দেহ. কোথায় নারী নিরাপত্তা? কোথায় পুলিশি নজরদারি ? আরজি করকাণ্ডের আবহেই ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিলো কৃষ্ণনগরের নারকীয় ঘটনা.