
সঞ্জয় রায়চৌধুরী, কোয়েল বনিক, কলকাতা : সোমবার ৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টো- কলেজ স্কোয়ার থেকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জুনিয়র ডাক্তাররা. চার দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ.
শুরু থেকেই এই অভিযান রুখতে তৎপর ছিল পুলিশ. ডাক্তারদের আটকাতে বসানো হয়েছিল ব্যারিকেড. ব্যারিকেডগুলো বাঁধা হয় লোহার শিকল দিয়ে. তবে, তাতেও দমে যাননি আন্দোলনকারীরা.
বাধা পেয়ে সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন ডাক্তাররা. তাদের তখনও দাবি, যতক্ষণ না সিপি-র সঙ্গে দেখা হচ্ছে, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন. পুলিশকর্মীরা এসে বোঝালেও কোনও কাজ হয়নি. এরপর সন্ধ্যাবেলায় তারা খবর পান সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই. এই খবর চাউর হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তারা. তবে, একথাও জানিয়ে দেন যে এই বিক্ষোভ অবস্থান তারা চালিয়ে যাবেন. এরপর রাতভর চলে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান.
২২ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার দুপুরে অবশেষে আন্দোলকারীদের নৈতিক জয় হয়. পুলিশের তরফে জানানো হয়, সিপি দেখা করতে রাজি. এরপর ২২ জনের একটি প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে দেখা করেন বিনীত গোয়েলের সঙ্গে. এদিন নজিরবিহীন দৃশ্য দেখলো বাংলা. সিপি-র কাছে গিয়েই সিপি-র পদত্যাগ চাইলেন ডাক্তাররা. পাশাপাশি, সেই প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে তারা মিছিল করছিলেন, তাও তারা তুলে দিলেন পুলিশ কমিশনারের হাতে.
তবে, বৈঠক করেও মিললো না রফাসূত্র. আন্দোলন যেমন চলছিল, চলবে. তবে, লালবাজারের কাছে এই বিক্ষোভ মঞ্চ তুলে নেওয়া হবে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে জানালেন ছাত্রনেতা.
ছাত্রছাত্রীরা বউবাজার থেকে অবস্থান তুলে নিতে সম্মত হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে প্রশাসন। আন্দোলনকারী মেডিকেল ছাত্ররা জানিয়েছেন,
লালবাজারের অবস্থান তারা তুলে নিলেও কলেজে কলেজে আন্দোলন অবস্থান চলবে। সুতরাং সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না.