
ওঙ্কার ডেস্ক : চতুর্থ দফায় ভোট হল নদিয়া জেলার দুই কেন্দ্র কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটে. কৃষ্ণনগরে মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও কোথাও কোথাও কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে. এদিন চাপড়া, নাকাশিপাড়ার সংখ্যালঘু বেল্টে উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ে. জোট প্রার্থী এস এম সাদি অভিয়োগ তোলেন, বাম সমর্থক ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে. এরপর তিনি নিজেই ভোটারদের বুথে নিয়ে যান. সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রে কার্যত ছুটে বেরালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র.
দুপুর ৩ টে নাগাদ, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তেহট্ট. বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধর করেছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির. পাল্টা বিজেপির কোন্দল বলে কটাক্ষ শাসকদলের.
অন্যদিকে, ইভিএম-এর অন্য বোতাম টিপলেই ভোট চলে যাচ্ছে পদ্মফুলে,এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনাটি ঘটেছে পলাশীপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের পলসুন্ডা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া ৫৯ নম্বর বুথে। প্রিসাইডিং অফিসার কে বিষয়টি জানানোর পর বদলে দেওয়া হয় ইভিএম মেশিনটি। বেশ খানিকক্ষণ ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর চালু হয় ভোট দান পর্ব।
নদিয়ার আরেকটি কেন্দ্র রানাঘাটে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর. তৃণমূল প্রার্থী মুকুমটমণি অধিকারী অভিযোগ তোলেন, বিজেপির হয়ে নির্বাচন কমিশনের একাংশ কাজ করছে. সোমবার নবদ্বীপ ব্লকের তিওয়রখালি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটগ্রহন কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এমনই মন্তব্য করেন তিনি.
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের ওপরেই ফের একবার আস্থা রেখেছে তৃণমূল. রাজমাতা অমৃতা রায়কে রাজনৈতিক মযদানে নামিযে চমক দিযেছে বিজেপি. বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী এস এম সাদি.
অন্য়দিকে, রানাঘাটে জনপ্রিয় মতুয়া মুখ মুকুটমণি অধিকারীকে টিকিট দিযেছে তৃণমূল. বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারকেই ফের একবার প্রার্থী করেছে বিজেপি. বাম-কংগ্রেস জোটের বাজি অলকেশ দাস.