
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ঃ দুর্নীতির অভিযোগে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশে সরকারি কর্মীর মর্যাদা হারানোয় ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না। কিন্তু ভোট হবে কি করে! কারণ চাকরি হারাদের মধ্যে ১৯ হাজার ভোট কর্মী রয়েছেন।
আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। আর দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণের আগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর আদালতের নির্দেশে সরকারি কর্মীর মর্যাদা হারানোয় ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না। এদের মধ্যে আনেকেই এবার ভোট কর্মী। যদিও রাজ্যের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ভোটকর্মী নিয়োগের সময় প্রতিবারই প্রয়োজনীয় সংখ্যারর তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মীকে নিয়োগ করে ‘রিজার্ভ’ হিসাবে রাখা হয়। কেউ অনুপস্থিত থাকলে বা অন্যক জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁদের বুথে পাঠানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সেই রিজার্ভে থাকা কর্মীদের দিয়েই সমস্যাথর সমাধান করা হবে।
ভিও ০২ সূত্রে খবর, এদিন যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে শিক্ষক প্রায় ১৯ হাজারের কাছাকাছি। গ্রুপ সি ও ডি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন সাড়ে ছ’হাজারের কাছাকাছি। কমিশন সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে এই ব্য্ক্তিরা সরকারি কর্মীর মর্যাদা হারানোয় ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে সেই শূন্যদস্থান পূরণ করা নিয়েই প্রকৃত পরিস্থিতি কী জানাতে জেলায় জেলায় নির্দেশ গিয়েছে কমিশনের।