
সুমন গঙ্গোপাধ্যায়ঃ রবি ঠাকুরের সেই গানটা মনে আছে “এ যে খেলা ভাঙার খেলা”? বাংলার রাজনীতিতে যেন সেই গানের সুর বারে বারে বাজছে। শুরু ২০১১ সালের পর থেকে, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তা কার্যত সুনামির আকার নেয়, আর এই ২৪,র লোকসভার আগে যেন ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা,,।” মানে রাজ্য রাজনীতিতে এখন ঘর ভাঙার খেলা। পদ্ম ছেড়ে তৃণ গিয়ে ফের তাঁর পুরোনো ঘরে ফিরছেন কালিয়াগঞ্জ- এর বিধায়ক সৌমেন রায়, আবার জোড়া ফুল শিবির ছেড়ে পদ্মতে মজেছেন তৃণমূলের বিধায়ক তাপস রায়। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন। আবার একই ভাবে পদ্ম ছেড়ে জোড়া ফুলে মুকুটমণি অধিকারী। তবে দল বদল হলেও লক্ষ বদল কিন্তু একটাই-‘দিল্লি চলো।’ আর এই ভিড়ে আরও একটা নতুন নাম জুড়তে চলেছে। তাও আবার ঠাকুর বাড়ি থেকে।
সূত্রের খবর, এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চলেছেন সুব্রত ঠাকুর। এই মুহূর্তে গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক তিনি। শুধু তাই নয়। আরও তিনটি পরিচয় আছে তার। এক, বড় মা বিনাপানি দেবীর নাতি। দু্ প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী মঞ্জুরকৃষ্ণ ঠাকুরের ছোট পুত্র। তিন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ভাই।
সূত্রের খবর, এই বনগা লোকসভা কেন্দ্রে এবার শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রার্থীও করা হতে পারে সুব্রত ঠাকুরকে। অর্থাৎ মতুয়া অধ্যুষিত এই লোকসভাতে আবার ও মুখোমুখি হরিচাদ ঠাকুর- গুরুচাদ ঠাকুরের পরিবারের দুই সদস্যর মধ্যে। যদিও ২০১৯ সালেও এই আসনে লড়াই হয়েছিল মমতাবালা ঠাকুর বনাম শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে। যদি ও শেষ হাসি হাসেন শান্তনু ঠাকুরই। এবারও একইভাবে একই পরিবারের দুই ভাই এর লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল