
আমজাদ আলী শেখ, বর্ধমান : শুক্রবার থেকে শুরু হলো মাধ্যমিক পরীক্ষার। এবছর পরীক্ষা দিচ্ছেন ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছ। ১১.৪৫-এর বদলে ৯.৪৫-এ শুরু হল পরীক্ষা। জানা যায়, এবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২,৫০৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১৮,২২৭ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ২৪,২৭৯। গতবছরের তুলনায় এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুন।
পরীক্ষার প্রথম দিনে বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের ভিড়। সকাল থেকেই পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা বর্ধমান কার্জন গেট চত্বরে। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ১২৫ টি স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্যদ আঞ্চলিক আধিকারিক সূত্রে খবর। এছাড়াও বর্ধমান সদরে ৩৩ টি মেন ভেনু এবং ৩০ সাব ভেনু করা হয়েছে।
তবে শিক্ষকদের একাংশের মতে, শিশুশ্রম এবং নাবালিকা বিবাহর কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই স্কুলছুট হচ্ছে বহু ছাত্রছাত্রী। এ বিষয় রথতলা মনোহর দাস বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এবছর ৮৮ জন ছাত্রর মধ্যে আমরা ১৫ জনের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলাম। এদের মধ্য়ে ৬ জন নিজের ইচ্ছায় ফর্ম ভরতে এসেছিল. সাতজনকে জোর করে ফর্ম ফিল আপ করানো হয়. বাকি দুজনের বাড়িতে ফর্ম পৌঁচে দেওয়া হয়’. তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যে বেশিরভাগই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ে.
করোনার ধাক্কায় সংসার টানা দায় হয়ে পড়েছে। তাই পরিবারের ছোট সদস্যকে স্কুল বাদ দিয়ে কাজে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন মা-বাবা। কোথাও আবার মেয়েদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে ১৮-র আগেই তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছ। এর কারণে, বহু ছাত্রছাত্রী এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেনি। আর এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সত্ত্বেও কেন এখনও রোধ করা যাচ্ছে না নাবালিকা বিবাহ, শিশুশ্রম।