
ওঙ্কার ডেস্ক : মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওঙ্কার বাংলা ডিজিটাল ) ভিডিওটিতে দেখা গেছিল একটি ছেলেকে উলটো করে ঝোলানো রয়েছে । তার দুই হাতে দৃশ্যমান বিদ্যুতের তার বাধা রয়েছে। কিছুটা দূর থেকে এক যুবক ঐ তার বিদ্যুতের প্লাগে গুঁজছে। কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর কেঁপে কেঁপে উঠছে উল্টো করে ঝুলতে থাকা কিশোরের শরীর।
বুধবার রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ শিশু শ্রমিককে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর এবং ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ কারখানার মালিক এখনো পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কারখানার মালিকের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভা এলাকার জিন্সের পোশাক রং করার একটি কারখানাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ১৪ বছরের ছেলেটিকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ছেলেটির নাম সামসাদ। মাস দেড়েক আগে ইসলামপুর থেকে কলকাতায় কাজের জন্য এসেছিল এক আত্মীয়ের সাথে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সামসাদ কে মোবাইল চুরির সন্দেহে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার দিনই মহেশতলা কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের নাম মোস্তফা কামাল এবং তৌহিদ আলম। তারা দুজনেই ওই কারখানার কর্মী বলে জানা গেছে। বুধবার দুই অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে কারখানার মালিক অর্থাৎ শাহেনশাহ এই ঘটনার পর থেকে পলাতক। এখনো অবদি তার খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে খবর। পুলিশের পক্ষ থেকে মূল অভিযুক্তকে খোঁজার জন্য তদন্ত চলছে।