
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা : রোজকার মতোই নিজের টোটো চালিয়ে ফিরছিলেন কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আমির শেখ। কিন্তু মাঝপথেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। মালদহের মোজমপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে গুলির লড়াইয়ে পড়ে গুলিবিদ্ধ হলেন গুরুতর আহত টোটো চালক। গোষ্টী দ্বন্দ্বের জেরে গুলি লাগার জন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে না আসলে নিজেই গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই কোনওরকমে ফোন করেন বাড়ির লোকদের, জানান পরিবারকে। দ্রুত ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানান্তরিত করা হয় অ্যাপেলো নার্সিংহোমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল নাগাদ মোজমপুর এলাকায় আচমকাই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি চলতে শুরু করে। রীতিমতো প্রকাশ্য রাস্তায়, বাসস্ট্যান্ডের সামনে বন্দুক নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে দুই পক্ষ। সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আমির শেখ। হঠাৎ শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে যান তিনি। আমিরের টোটোর সামনের কাচ ভেঙে যায়, গুলি লাগে তাঁর গায়েও। মুহূর্তেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকেরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর কালিয়াচক থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত আমির শেখের বাবা নজরুল শেখ জানান তাঁর ছেলে নিজেই ফোন করে বাড়িতে জানায় পুরো ঘটনটি। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমিরের পরিবারে তাঁর এক স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে বলে জানয়েছে পরিবার। দ্রুত আসামীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি তিলেছেন আমিরের বাড়ির লোক।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও অবদ্ধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, “প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও গুলি চলছে। পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। এখন তো নিরীহ মানুষও রাস্তায় নিরাপদ নয়।” এই ঘটনার পর থেকে গোটা মোজমপুর এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহলদারি।