
বিশেষ প্রতিনিধি:শেষ হল ১৫ দিন ধরে চলা ফ্যাসিবাদ ও নয়া উদারবাদ বিরোধী জন চেতনা যাত্রা। শুরু হয়েছিল ৬ই ডিসেম্বর কলকাতা থেকে, শেষ হল ফ্যাসিবাদী শাসনের মুখ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বেনারসে। শহীদ বিপ্লবী রামপ্রসাদ বিসমিল, আসফাকুল্লার ভূমিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজদের যে কোনো স্থান নেই তা তাদের শহীদ দিবসে (১৯ ডিসেম্বর) স্মরণ করে এই দীর্ঘ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের লঙ্কা গেটের সমাপন অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের লড়াই জারী রাখার অঙ্গীকার করে বক্তব্য রাখেন যাত্রার অন্যতম সংগঠক অমিতাভ ভট্টাচার্য (মজদুর ক্রান্তি পরিষদ), বাল গোবিন্দ সিং(ক্রান্তিকারী ফরোয়ার্ড ব্লক), ঝিলম রায় (ফেমিনিস্ট ইন রেসিসটেন্স) বেনারসের অন্যতম লড়াকু সাথী আফলাতুন জি (মহাসচিব, সমাজবাদী জন পরিষদ), বিশিষ্ট সাংবাদিক হর্ষ ঠাকুর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিভিন্ন বিপ্লবী, সংগ্রামী পার্টি, গণসংগঠন, ব্যক্তির উদ্যোগে শুরু হওয়া এই যাত্রা বাংলার ৮ টি জেলা, ঝাড়খণ্ড, বিহারের গ্রাম শহরের বিস্তৃত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে এসে প্রবেশ করে উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি জেলায়, আজ সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয় ফ্যাসিবাদের গড় বেনারসে। মোট ৮০০ কিলোমিটার ছিল এই যাত্রাপথ, নিয়মিত উপস্থিত ছিল অন্তত ১৫০ মানুষ, সব মিলিয়ে এই যাত্রায় অংশ নিয়েছেন অন্তত ৪০০ জন আর লাল ঝান্ডার প্রতি আস্থা রেখে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত সভায় অংশ নিয়েছেন কমপক্ষে ১০,০০০ শোষিত, নিপীড়িত, সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের লড়াকু মানুষ। আর যাত্রা পথে বার্তা নিয়ে পৌঁছনো গিয়েছে লাখো মানুষের কাছে। পাওয়া গিয়েছে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন আর সহযোগিতা। বর্তমান অবস্থা নিয়ে নিজের ক্ষোভ তারা উগরে দিয়েছেন জন চেতনা যাত্রার সাথীদের সাথে কথোপকথনের সময়। বেনারসে সমাপ্তি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। লঙ্কা গেটের অনুষ্ঠানের পর পড়ারকর ভবনে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান ভারত ও সমতার জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যাত্রাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়, যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের নিজেদের হাতে বানানো বেনারসী উত্তরীয় পরিয়ে বেনারসের বুনকররা সম্মানিত করেন।