
ওঙ্কার ডেস্ক : যাদবপুর কাণ্ডের পর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেন এ বছরেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যাসলয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের রাজ্যের ৪১তম কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এতদিন ধরে সংগঠনের কনভেনশন কলকাতাতেই অনুষ্ঠিত হয়ে এসেছে । তবে এবার জেলায় জেলায় কনভেনশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে অধ্যাপক সংগঠন এর তরফ থেকে। সেই কনভেনশনেই এই ঘোষণা করলেন ব্রাত্য বসু ।
ব্রাত্য বলেন, ‘‘বিরোধীরা হতাশা থেকে অনেক কিছুই করবে। কাজ পন্ড করার চেষ্টাও করবে। শূন্য থেকে মহাশূন্যে যাবে। মহাশূন্যেও কোনও ভর বা ভার থাকবে না। কুৎসা অপবাদ থাকবে। কিন্তু সবকিছুকে জয় করেই আবারও ছাব্বিশে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হতাশাগ্রস্তদের নিশ্চয়ই ওষুধ আছে। সময় মতো সেই ওষুধ দেওয়া হবে। ভুলে গেলে চলবে না রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।’’
শিক্ষামন্ত্রী পরিসংখ্যােন তুলে ধরে জানান, ২০১১ সালের আগে মাত্র ৩৪টি সরকারি কলেজ ছিল। গত ১০ বছরের আরও ৩৩টি সরকারি কলেজ তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষদের বয়সসীমা নিয়েও বৈঠক করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আগামী দিনে বীরভূম জেলারতেও, এখানকার দাবি মেনে সরকারি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হবে। পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। আদালতের বিচারাধীন বিষয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতেও নির্বাচন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ‘২৫ সালেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে।’’
অন্যদিকে, ওইদিন অধ্যাপক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আব্দুর রফিক সর্দার ও রাজ্য সম্পাদিকা সুতপা সান্যাল সভায় অধ্যাপকদের অভাবের কথা বলেন। যদিও ব্রাত্য বসু অধ্যাপক প্রতিনিধিদের জানান , ‘‘বদলি নীতি এখন পুরোটাই স্বচ্ছ হয়েছে। তবে কলেজগুলি ছন্দে রয়েছে কিনা এবং বদলির বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে সংগঠনকেই। অন্যদিকে এমন একাংশ অধ্যাপক আছেন মাসের পর মাস কলেজেই উপস্থিত হন না। দায়িত্ব মতো কাজ করছেন না। তাঁদের শনাক্ত করতে হবে। অধ্যাপক সংগঠনকেই সেই কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে।’’
ইতিমধ্যেই যাদবপুর কাণ্ডের জেরে রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস ও রাজ্যএ সরকারের মধ্যে যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে তারও জের এসে পড়ল এই কনভেনশনে। রাজ্যপালের নাম না করে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মানসিক সুস্থতা কামনা করেছেন।