
স্পোর্টস ডেস্ক : মোহনবাগান সভাপতি হিসেবে সচিব সৃঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে প্রথম বৈঠকেই দেবাশিস দত্তকে বেছে নেওয়া হল। দেবাশিস সভাপতি ছাড়াও সহ সভাপতি হলেন সৌমিক বসু, মানস ভট্টাচার্য, উত্তম সাহা, কুণাল ঘোষ, দেবাশিস মিত্র। এছাড়া কো অপট করে আনা হল সঞ্জয় ঘোষ, দেবাশিস রায়, অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ইনভাইট সদস্য হলেন সম্রাট চক্রবর্তী, দীপিকা দাস, দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। তবে এই কমিটিতে মাঠের লোকেই ভর্তি গতবারের মত রাজনৈতিক নেতাদের দাপাদাপি নেই। অরূপ রায়, মলয় ঘটকদের মতো মন্ত্রীরা বাদ।
তবে মোহনবাগান সহ সভাপতি কুনাল ঘোষ জানালেন, অরূপ দা, মলয় দা সবাই মোহনবাগানেরই অংশ নেওয়ার অনেক জায়গা আছে কমিটি আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে। এদিন সৃঞ্জয় বসু জানালেন, মোহনবাগান মাঠে কলকাতা লিগের খেলার পাশাপাশি কন্যাশ্রী কাপে মহিলা দলের খেলার ব্যবস্থা করার বিষয়ে কোম্পানির সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। পাশাপাশি কো অপট করে অন্য খেলার সঙ্গে যুক্ত খেলোয়াড়দের কমিটিতে আনার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে। পাশাপাশি ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবস নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।এদিন দেবাশিস দত্তর জন্য তার অনুগামীরা ঢাক, ঢোল বাজিয়ে তাকে ক্লাবে স্বাগত জানানো হয়। গোলাপের মালা পড়ে সৃঞ্জয় আর দেবাশিস একে অন্যকে স্বাগত জানালেন। এই মধুচন্দ্রিমা থাকবে তো তো ! দেবাশিস বললেন,আমি শাহরুখ খান, অভিষেক বচ্চন বা অমিতাভ বচ্চন নই। আমি একজন আদ্যপান্ত মোহনবাগান সমর্থক। এইভাবেই কাটাতে চাই। কাজ করলে বাবা, দাদা, ঠাকুরদার পরিচয় লাগে না। আমি ফুটবল ভাষার বাইরে কিছু জানি না, বুঝিও না। পদ দিয়ে কাজ হয় না। কাজের লোক সম্মান পায়। আমি সমর্থক হিসেবে কাজ করব। দু’জন মিলে পলিসিগত সিদ্ধান্ত নেব। এবার মোহনবাগানের সভাপতির ভূমিকা পাল্টে যাবে।’
একা নয়, এবার জোড়া স্ট্রাইকারে খেলবেন। পায়ে পা মিলিয়ে চলবেন। কিন্তু মাঠে স্ট্রাইকারদের মধ্যেও ইগোর সমস্যা হয়। সেটা রোখা কি সম্ভব? দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘এবছর আমরা ডবল স্ট্রাইকারে খেলছি। সৃঞ্জয় এবং দেবাশিস। ৪-৪-২ ফরমেশনে স্টপার খেললে একজন আরেকজনকে কভার করে। আমাদেরও এই মানসিকতা নিয়ে চলতে হবে। ময়দানের সেরা জুটি ব্যারেটো-বাইচুং আমার হাতে তৈরি। ওদের দু’জনের মধ্যে ইগো দেখিনি। দু’জনেই মোহনবাগান অন্ত প্রাণ। মোহনবাগান ক্লাবকে ভালবাসলে কীসের ইগো !’ গত দু’মাসের কাদা ছোড়াছুড়ির পর উচ্চপদে মিটমাট হয়ে গিয়েছে। হাত মিলিয়েছেন দেবাশিস দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু। কিন্তু দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে এখনও বিভেদ স্পষ্ট। ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন বাগানের নতুন সভাপতি। এই প্রসঙ্গে দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘রাতারাতি একটা মিরাকেল বা ম্যাজিক হওয়া সম্ভব নয়। মাঝে একটা বড় বিভাজন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ছোটরা বাবা-মায়ের থেকেই শেখে। দু’জনের মধ্যে ভাব থাকলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। তাই রাতারাতি কিছু হবে না। যে পরিপক্বতা আমাদের আছে, তাঁদের নেই। আমরা তাঁদের ইন্ধন দিলে সমস্যা বাড়বে। বাকিদের মানতে হবে তাঁরা সৃঞ্জয় এবং দেবাশিসের লোক, একজনের না। সবাই মোহনবাগানকে ভালবাসে। ব্যক্তির থেকে প্রতিষ্ঠান বড়। তাই কোনও সমস্যা হবে.