
ওঙ্কার ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে উদ্যোগপতিদের ঋণ দিতে জন্য মুদ্রা যোজনা চালু করেছিলেন। চলতি বছরে এই প্রকল্প ১০ বছরে পদার্পণ করেছে। ১০ বছর পূর্তিতে মুদ্রা যোজনাকে ‘ক্ষমতায়ন এবং উদ্যোগের’ যাত্রা বলে অভিহিত করেছেন মোদী। তিনি আরও বলেন, সঠিক সহায়তা পেলে ভারতের মানুষ আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে।
এই ঋণ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এর অধীনে এখনও পর্যন্ত ৫২ কোটি জামানত-মুক্ত লোন দেওয়া হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৭০% ঋণ দেওয়া হয়েছে মহিলাদের এবং এসসি/এসটি/ওবিসি উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয়েছে ৫০% ঋণ। মাই গভ ইন্ডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে মুদ্রা যোজনা সংক্রান্ত এক পোস্ট করা হয়েছিল। সেটি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, ‘মুদ্রা যোজনার ১০ বছর ক্ষমতায়ন এবং উদ্যোগের। এটি দেখিয়েছে যে সঠিক সাহায্য পেলে ভারতের মানুষ আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে!’
অন্যদিকে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা শুরু হওয়ার পর, দেশের মধ্যে তামিলনাড়ুকে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ পর্যন্ত ৩,২৩,৬৪৭.৭৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে দক্ষিণের ওই রাজ্যকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ৩,১৪,৩৬০.৮৬ কোটি টাকা। কর্ণাটককে এই লোন বাবদ দেওয়া হয়েছে ৩,০২,১৪৬.৪১ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে চতুর্থ স্থানে এবং বিহার পঞ্চমে রয়েছে। বাংলাকে দেওয়া হয়েছে ২,৮২,৩২২.৯৪ কোটি টাকা এবং বিহারকে দেওয়া হয়েছে ২,৮১,৯৪৩.৩১ কোটি টাকা।