
ওঙ্কার ডেস্ক:মারণ রোগে আক্রান্ত ফুটফুটে একরত্তি শিশু কন্যা, চিকিৎসার খরচ ১৬ কোটি টাকা। চিন্তায় বাবা-মা। মেয়ের জীবন বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাতর আরজি তাঁদের।
নদীয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও লক্ষ্মী দাস। তাঁদের কন্যা ছোট্ট আস্মিকার বয়স ১০ মাস। এই বয়সে তার দেহে ধরা পড়েছে এক বিরল ও জটিল রোগ। যার চিকিৎসা করতে জোগাড় করতে হবে ১৬ কোটি টাকা। এর ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শুভঙ্কর ও লক্ষ্মীর কপালে। চিকিৎসকদের মতে ছোট্ট আস্মিকা আক্রান্ত স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি টাইপ ১ রোগে। যা বিরলতম। ১০ থেকে ১৫ হাজার শিশুর মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে।
বাবা শুভঙ্কর দাস জানান, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কিন্তু বিগত চার মাস ধরে কাজ করতে পারছেন না। আস্মিকা জন্মের পর যখন ৬ মাস বয়স হয়, তখন তার শারীরিক অবস্থা আর পাঁচ জন স্বাভাবিক শিশুর মতো ছিল না। তখনই চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকের পরামর্শে আস্মিকার জিন টেস্ট করে অপেক্ষা করা হয় কুড়ি দিন,তার পর রিপোর্টে জানা যায় দূরারোগ্য ব্যাধির কথা।
একরত্তিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্গালোরে। কিন্তু সেখানেও মেলেনি সমাধান। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন এই রোগের ওষুধ নেই ভারতে। তবে আমেরিকার এক সংস্থা এই রোগের ওষুধ প্রস্তুত করে। যার মূল্য ১৬ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা পাবেন কোথায়, তা ভেবে দিশাহীন হয়ে পড়েছেন আস্মিকার বাবা মা। শেষ আশা হিসেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য কাতর আরজি জানিয়েছেন অসহায় শুভঙ্কর ও লক্ষ্মী।
এখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন ছোট্ট আস্মিকার পরিবার।