
ওঙ্কার বাংলা ডেস্ক: ভুল ঠিকানার কারণে ৬ বছর ধরে মেদিনীপুরের জেলে আটকে রইলেন ঝাড়খণ্ডের মহিলা। জামিন পাওয়ার পরে ঠিকানা না মেলায় জেলই হয়ে উঠেছিল তাঁর ঠিকানা।
সাত বছর আগে সীমানা পেরিয়ে এ রাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার চেইনপুর থানার কর্মাহা গ্রামের বাসিন্দা নলিনী চৌধুরী। অজ্ঞাতসারেই ঢুকে পড়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বিমান ঘাঁটির হাই অ্যালার্ট জোনে। সেই অপরাধে ২০১৭ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খড়গপুর থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৪৭ ও ৭ ধারায় মামলা রুজু করে। এক বছর পর আদালতের নির্দেশে জামিনও পেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করার সময় উল্লেখ করেছিল নলিনীর বাড়ি উত্তর প্রদেশে। আদতে তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলার। অবশেষে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারলেন ওই মহিলা।
পরিবারের দাবি, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন নলিনী। ২০১৭ সালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। সেই সময় স্থানীয় থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি লিখিয়েছিলেন নলিনীর স্বামী লালজি চৌধুরি। সমস্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়ার পর অবশেষে শুক্রবার রাত্রে মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান নলিনী।
ভিডিও দেখুন-