
প্রদীপ মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর: চাঁদের বুকে চন্দ্রযানের পদার্পণের সাফল্য নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী প্রচার করছে কেন্দ্র সরকার।ঠিক তখনই চোর ধরতে পুলিশ নয়, ওঝার শরনাপন্ন হলো বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে । আর সেই মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা কে সরকারি প্যাডে সই করে সম্মতি দিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান বলে অভিযোগ ।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে।রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গড় নন্দীগ্রামে, এখন চোর ধরতে পুলিশ নয় ওঝার উপরই ভরসা বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের। হ্যাঁ এই একবিংশ শতাব্দীতে এমনই চিত্র দেখা গেলো বিরোধী দলনেতার খাস এলাকায়। উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম দু’নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে এই এলাকার বাসিন্দা শিব শংকর জানার বাড়ি থেকে সোনার গহনা চুরি যায়।চোর ধরতে গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে সালিশি সভা বসে। সেই সভায় ঠিক হয় ওঝা ডেকে চোর ধরা হবে। অভিযোগ ওঝা ডেকে চোর ধরার অনুমতি দিয়ে , গ্রাম পঞ্চায়েতের প্যাডে, পঞ্চায়েত সদস্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বাক্ষর করেন।পরবর্তীতে ওঝা এসে স্থানীয় ভাষায় “নল ধরকা” নামের একটি বস্তু দিয়ে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বনবিহারী জানা নামের এক ব্যক্তির পরিবারকে চোর হিসাবে সনাক্ত করেন।
এরপর বনবিহারী জানার পরিবারের উপর নেমে আসে নির্মম অত্যাচার, মারধর থেকে শুরু করে বাড়িঘর ভাঙচুর।
শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার দ্বারস্থ হন বনবিহারি বাবু।তবে পঞ্চায়েত প্রধান মৈত্রী গুড়িয়া , ওঝা ডেকে চোর ধরার বিষয়ে সরকারি প্যাডে স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্ত গর্গ ।তিনি বলেন বিজেপি এখনো মানসিক ভাবে মধ্য যুগে বসবাস করছে। এই ঘটনা তার প্রমান।
এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরও , কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।