
প্রদীপ মাইতি, ওঙ্কার বাংলা: সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামে। বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, হাতাহাতি বাদ গেল না কিছুই। রবিবার এই ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি।
ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারীও। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অশান্তির কারণে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। যদিও পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। বোমাবাজির কারণে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, অশান্তি করে জিততে চাইছে তৃণমূল। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল জানান, ‘গতকাল থেকে বুথ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১০০ মিটারের বাইরে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছে। অথচ সেখানে রীতিমতো প্রহসন করছে তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ব্যাপক বোমাবাজি করল ওরা। আমাদের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে আমি নিজেও আমার ভোটটা দিতে পারিনি’। যদিও বিষয়টি নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিন্তু কেন অশান্তি সমবায় নির্বাচনে? স্থানীয়রা জানান, তমলুকের জনপ্রিয় এগ্রিকালচার সোসাইটির নির্বাচন আয়োজিত হচ্ছে জেলা জুড়ে। এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি। নন্দীগ্রামে এই সমবায়ের ৭টি আসন রয়েছে যেখানে সব মিলিয়ে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের কাঞ্চননগর হাইস্কুলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকেই এই ভোটগ্রহণ ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। জোড়াফুল শিবির ও পদ্ম শিবিরের সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন, মুহুর্মুহু চলে বোমাবাজি।
ভিডিও দেখুন-