
ওঙ্কার ডেস্ক: আগেই মোদী সরকারের তরফে পাঠানো সাত প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরলেন পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ। কানাডায় জি৭ সম্মেলনে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নারকীয় হামলার কথা তুলে ধরেন তাঁর ভাষণে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা কেবল পহেলগাঁওয়ের উপরে নয়, বরং প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার উপর সরাসরি আঘাত ছিল এটি। এটি ছিল সমগ্র মানবজাতির জন্য এক আঘাত। এর তীব্র নিন্দা এবং সমবেদনা প্রকাশ করার জন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সকল দেশের বিরোধী এটি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্য অপরিহার্য। ভারতের প্রতিবেশী অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তিস্থল রয়েছে! বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য, আমাদের চিন্তাভাবনা এবং নীতি স্পষ্ট হতে হবে – যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, তবে তাকে এর মূল্য দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরস্ত্র মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। গত ৭ মে পহেলগাঁও কাণ্ডের জবাবে ভারতের সেনা বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জায়গায় আঘাত হেনে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। যদিও কয়েক দিনের মধ্যে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়। সেই সংঘর্ষবিরতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তা অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি।