
গোপাল শীল , নরেন্দ্রপুর : টাকার লোভে নিজের গর্ভজাত ১১ দিনের সন্তানকে দু লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন গর্ভধারিনী মা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নরেন্দ্রপুরে।জানা গেছে ওই মহিলার নাম শুক্লা দাস।এবং শুক্লা দাস নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাভুতিয়া এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তীতে ওই শিশু বিক্রির অভিযোগ পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ শুক্লা দাস নামে ওই গর্ভধারিনী মা ও ক্রেতা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে।পুলিশ সূত্রে খবর চার বছর আগে শুক্লা দাসের স্বামী মারা যান। পরে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন শুক্লা দাস। তারই জেরে এই সন্তানসম্ভবা হয়ে ওঠেন শুক্লা দাস। এবং গর্ভজাত ওই সন্তানকে নষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা নেন শুক্লা দাস। তবে এই বিষয়টি তার প্রতিবেশী শান্তি মন্ডল ও তার স্বামী তাপস মন্ডল জানতে পেরে শান্তি মন্ডল আর শুক্লা দাস পরিকল্পনা করে শুক্লা দাসের সন্তানকে নষ্ট না করে ভূমিষ্ঠ করার চিন্তাভাবনা নেন। এবং মোটা টাকার বিনিময়ে ওই সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন ওই দুই মহিলা। তবে শুক্লা দাসের দাবি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে তিনি তার সন্তানকে বিক্রি করেননি । পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে আয়ার কাজ করার সুবাদে শান্তি মন্ডল নামে পঞ্চশায়ের থানা এলাকার বাসিন্দা নিঃসন্তান ঝুমা মাঝিকে শুক্লা দাসের ওই সন্তানকে দু লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় । কিন্তু ঝুমা দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি বাচ্চাটিকে মানুষ করার জন্য রেখেছিলেন। সন্তান বিক্রির খবর জানাজানি হতেই প্রতিবেশী উত্তম হালদার সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্লা দাস ,শান্তি মন্ডল তার স্বামী তাপস মন্ডল ও সদ্যোজাতকে কেনার অভিযোগে ঝুমা মাঝি সহ চারজনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মধ্যস্থতাকারী ধৃত শান্তি মন্ডল কোন শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।