
প্রতীতী ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা : ১৯৩১ সালে ১১ই অক্টোবর জগদ্দলের গোলঘর বঙ্গীয় পাটকল শ্রমিক সংগঠনের সভায় ভাষণ দিতে যাচ্ছিলেন নেতাজি। পথ আটকেছিল ব্রিটিশ পুলিশ. তারা ভেবেছিলো নেতাজির ভাষন শুনলে ওই এলাকার শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ব্রিটিশ শাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন। এখনকার শ্যামনগর চৌরঙ্গী কালী বাড়ির সামনে নেতাজির পথ আটকায় তৎকালীন নোয়াপাড়া থানা ইন্সপেক্টর। সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে আসা হয় থানায়। বেশ কয়েক ঘন্টা তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয়। ১০/৮ ফুটের গারদ তাই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর পদধুলিতে ধন্য। তাই একটু অন্যরকমভাবেই নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালিত হল এই থানায়. যে ঘরটিতে তিনি আটক ছিলেন সেই ঘরটিকে স্মৃতিসৌধ হিসেবে রাখা হয়েছে। আজ গোটা ঘরটি সেজে উঠেছে ফুলের মালায়।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করতে নোয়াপাড়া থানায় আসেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। এছাড়াও ছিলেন ডিসি নর্থ শ্রী হরি পান্ডে, গারুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস, উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।