
ওঙ্কার ডেস্ক: ১৫ বছর পর মুম্বই হামলার তদন্তে নতুন মোড়, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৬/১১ মুম্বই হামলার ১৫ বছর পর নতুন মোড়। এনআইএ-র দাবি, এই তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্যের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। হামলার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী কানাডিয়ান-পাকিস্তানি লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গি তাহাউর রানাকে জেরা করে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারে আশাবাদী তন্তকারী সংস্থা। উঠে এসেছে ‘দুবাই ম্যান’-এর নাম। যে ব্যক্তি আগে থেকেই ভারতের উপর ভয়াবহ হামলার কথা জানত। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাঁরা এখন খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন ওই রহস্যময় দুবাইবাসী ব্যক্তিটির পরিচয় জানতে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার ঠিক আগে দুবাইয়ে তাহাউরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল এই ‘দুবাই ম্যান’-এর। তাহাউরের ছোটবেলার বন্ধু ও ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাহাউরের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, ওই ব্যক্তি রানাকে জানিয়েছিল, ভারতে এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলা অনিবার্য।
আমেরিকা থেকে তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এনআইএর হাতে এসেছে। সেখানেও উল্লেখ রয়েছে, দুবাইতে এক গোপন সাক্ষাতে রানা ও ওই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন হয়, যেখানে হামলার আগাম বার্তা দেওয়া হয় রানাকে। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, এই ব্যক্তি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কেউ হতে পারেন, অথবা পাক সেনাবাহিনীর কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা, কিংবা সরাসরি লস্কর-ই-তোইবার শীর্ষ নেতা। ২০০৮ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে তাহাউর রানা তাঁর স্ত্রী সামরাজ রানা আখতারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের একাধিক শহর সফর করে। এনআইএ-এর নজরে এসেছে যে, তাঁরা শুধু মুম্বই নয়, হাপুর, আগ্রা, দিল্লি, কোচি, আমদাবাদ ঘুরে বেরিয়েছিলেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই শহরগুলিও কি হামলার সম্ভাব্য নিশানা ছিল?
মুম্বই হামলায় লস্করের একাধিক শীর্ষ নেতার নাম উঠে এসেছে – হাফিজ সইদ, জাকিউর রহমান লখভি, সাজিদ মজিদ, ইলিয়াস কাশ্মীরি, আবদুর রহমান ওরফে পাশা। পাশাপাশি আইএসআই-এর অফিসার মেজর ইকবাল ওরফে মেজর আলি ও মেজর সামির আলির নামও উঠে এসেছে।