
অমিত কুমার দাস, কলকাতাঃ আরজিকর ঘটনা নিয়ে বর্তমানে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর। এই আবহে রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছেন জহর সরকার। সেই আসনেই এবার ভোট করানোর জন্য তৎপর হলো নির্বাচন কমিশন। পুজোর পর রাজ্যের ছ’টি বিধানসভায় উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে রাজ্যসভার নির্বাচনকেও সম্পন্ন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এমনটাই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্যের বিধানসভার সচিব কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে। এ আর ও কারা থাকবেন, তাঁদের বিস্তারিত তথ্য সহ যাবতীয় তথ্য চলতি মাসের মধ্যেই পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গত ১৯শে সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করছেন জহর সরকার যার মেয়াদকাল ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সামনে যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কমিশন সূত্রে খবর । আসন্ন দুর্গাপুজোর পরই রাজ্যের ছ’টি বিধানসভায় উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ওই একই সঙ্গে রাজ্যসভার নির্বাচনকেও সম্পন্ন করতে চাইছে নির্বাচন । সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সামনে যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই জায়গা থেকেই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে আদৌ কি সম্ভব হবে নাকি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির ফলে এবার রাজ্যের মানুষ পালাবদল ঘটাবে সেটাই এখন দেখার।
যদিও কমিশন সূত্রে খবর ঘোষনার পরপরই রাজ্যের উপ-নির্বাচনের এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে এবারের সংখ্যাটা যে অন্যবারের তুলনায় বেশি থাকবে তা কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। আর আবহে সব রাজনৈতিক দলগুলোই রীতিমতো এখন থেকেই মাটি কামড়ে নামতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুধবার বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম গত হয়েছেন। কমিশন কি ওই জায়গায় এই ছয়টি বিধানসভার উপনির্বাচন ও রাজ্যসভার নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে সেখানেও নির্বাচন করাবে কিনা এটাও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শাসকদল এই নির্বাচন কে নিয়ে বিশেষ কোনো আমল দিতে চাইছে না কারণ তাঁদের বিশ্বাস রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই ভরসা রাখেন তাই সব আসনেই তাঁরাই জয়লাভ করবেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা নির্বাচন কমিশন কবে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে, তবে এই নির্বাচন যে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে হবে তা একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। এখন দেখার বিষয় একটাই যে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে নির্বাচন কমিশন অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদল কতটা নিজেদের ভূমিকা কে সঠিক ভাবে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।