
নিজস্ব সংবাদদাতা : নদিয়ার চাপড়া থানার আলফা গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার নাম মুসলিমা খাতুন। তিন মাস আগে ডোমপুকুর গ্রাম থেকে তাঁর বিয়ে হয়েছিল আলফা গ্রামের মনিরুল শেখের সঙ্গে।
পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুসলিমার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত। টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো বাবার বাড়ির উপর। মুসলিমার স্বামী মনিরুল, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলেই তাঁকে দিনের পর দিন নিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার দিন মুসলিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে। এরপরই এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। মৃতার পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়—তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মুসলিমার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক মুসলিমার স্বামী ও শাশুড়ি।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।