
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়িঃ প্রায় ২২৫ বছর পর অর্কিডম্যান তপন কুমার কাঠামের হাত ধরেই ফিরে এল একটি বিলুপ্ত প্রজাতির অর্কিড। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার কাছে এই বিলুপ্ত প্রজাতির অর্কিডের খোঁজ মিলেছে। এই বিলুপ্ত প্রজাতির অর্কিড টির ল্যাটিন নাম প্যাপিলোসা।
জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদীর বাম তীর ঘেষে আপালচাঁদ বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলের পাশেই ছোট্ট জনপদ কাঠামবাড়ি। দেশ বিদেশের অর্কিড প্রেমী, অর্কিড সংগ্রাহক, অর্কিড গবেষকেরা এক নামে চেনে কাঠামবাড়িকে। কারণ এই জনপদে থাকেন অর্কিডম্যান তপন কুমার কাঠামের। তার গবেষণায় প্রায় ২২৫ বছর পর আবিষ্কৃত হয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি অর্কিড। নাগরাকাটার কাছে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি গাছে খোঁজ মেলে এই বিলুপ্ত প্রজাতির অর্কিডের। এই বিলুপ্ত প্রজাতির অর্কিড টির ল্যাটিন নাম প্যাপিলোসা।
অর্কিডম্যান তথা দেশের অন্যতম অর্কিড এক্সপোর্টার লাইসেন্স প্রাপ্ত তপন কুমার কাঠাম আরো এমন কথা জানালেন যা শুনে কার্যত হতাশ হতে হবে ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। গজোলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্র, অথচ এই ভোরের আলোয় যে অর্কিড গুলো রয়েছে, সেগুলি হাইব্রিড প্রজাতির অর্কিড। অর্থাৎ তার কথা অনুযায়ী প্রকৃত অর্কিড দেখা থেকে বর্তমানে একপ্রকার বঞ্চিত হতে হচ্ছে ডুয়ার্সের পর্যটকরা।
হাইব্রিড অর্কিডের ভিড়ে আজ কোন এক জায়গায় গিয়ে যেন ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে অর্কিডম্যান তপন কুমার কাঠামের আবিষ্কার। অথচ তপন বাবুর সংগ্রহে রয়েছে কয়েক হাজার দেশি বিদেশি অর্কিড। আর তিস্তা বঙ্গের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রঙ বেরং-এর অনেক অর্কিড।