
অনুসূয়া সিনহা, দুর্গাপুর: ‘পার্থেনিয়াম’ সূর্যমুখী উপজাতির উদ্ভিদ যার জন্ম মেক্সিকোতে কিন্তু বর্তমানে বাংলা তথা সারা ভারতের সর্বত্র ভয়ঙ্কর বিপদজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্থেনিয়াম গাছ বাঁচে মাত্র তিন থেকে চার মাস,কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটি গাছ ৪ থেকে ২৫ হাজার বীজের জন্ম দিতে পারে।
পার্থেনিয়ামে রয়েছে একপ্রকার টক্সিন বা বিষ যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর। পার্থেনিয়াম আগাছা ফসলি জমিতে থাকলে ফসলের উৎপাদন প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমিয়ে দেয়। পার্থেনিয়াম আগাছাযুক্ত মাঠে গবাদি পশু চরানো হলে পশুর শরীর ফুলে যায়, তীব্র জ্বর, বদহজমসহ নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। পার্থেনিয়াম মানুষের হাতে-পায়ে লাগলে হাত-পা চুলকায়, লাল হয়ে যায় এবং পরে ত্বকের ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘনঘন জ্বর, অসহ্য মাথাব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে। বাচ্চাদের এই গাছ থেকে দূরে রাখা উচিত।এই বিষয়ে গুরু তেগ বাহাদুর স্কুলের প্রিন্সিপাল সুতপা আচারিয়া জানিয়েছেন এই গাছের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বোঝানো হয়েছে।স্কুলের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয়।
অপরদিকে দুর্গাপুর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি জানিয়েছেন, শহরকে পার্থেনিয়াম মুক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।বর্তমানে কয়েকটি ওয়ার্ডে গাছ কাটা শুরু হলেও ,ভবিষ্যতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ই কাজ শুরু হবে
সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ,আমাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়েই পার্থেনিয়াম দ্রুত বংশবিস্তার করছে। তাই নিজেদের চারপাশ পার্থেনিয়াম মুক্ত রাখতে হবে মানুষকে সচেতন করতে হবে।