
সুমিত চৌধুরী: আইন শৃঙ্খলার অজুহাতে ডার্বি বাতিল হওয়াতে সরকারের ভূমিকা নতুন করে প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ল। বস্তুত রবিবারের বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে যা ঘটেছে সেটা কোন জনপ্রিয় সরকারের পক্ষে সুখকর কিছু নয়। বরং সরকারের জনপ্রিয় তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
বলা হয়েছিল পুলিশের এবং নিরাপত্তার অপ্রতুলতার কারণেই ডার্বি ম্যাচ বাতিল করা হচ্ছে। কিন্তু নাচ বাতিল হওয়ার পর ক্রীড়া প্রেমীদের বিক্ষোভ থাকাতে হাজার হাজার পুলিশ এসেছে।
সন্ধ্যা পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কাছে কার্যত নাকাল হয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পুলিশের লাঠির মুখে দাঁড়িয়েও রাস্তা ছাড়েনি।
বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলছেন বিক্ষোভ ঠেকাতে হাজার হাজার পুলিশ রাস্তায়। অথচ আর জি করের মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার সময় পুলিশ কোথায় ছিল। বহিরাগতরা যদি খুন করে থাকে তাহলে তারা হাসপাতালে ঢুকলো কিভাবে পুলিশি প্রহরা এড়িয়ে।
এদিন জনতার আবেগ এতটাই বেশি ছিল যে মোড়ে মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড বসিয়েও তাদের আটকাতে পারেনি। পুলিশ কিছু বিক্ষোভকারীকে ভ্যানে তুললেও পরে জনতা চাপে সে বিক্ষোভকারীদের ফের ভ্যান থেকে নামিয়ে ছেড়ে দেয়। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুধুমাত্র লাল হলুদ এবং সবুজ মেরুন পতাকা দেখা যাচ্ছিল।
পরে দেখা যায় সাদাকালো পতাকা নিয়ে মোহামেডান ক্লাবের বেশ কিছু সমর্থক এসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের মাইক যার সামনে ধরা হয়েছে তিনি একটা কথাই বলেছেন, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। জাস্টিস ফর আরজি কর।
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম কাল পর্বের পর দীর্ঘদিন বাদে পশ্চিমবঙ্গে কে এইরকম সংগ্রামী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে বহু কণ্ঠে।