
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : লক্ষ্য ২৬। আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে আলিমুদ্দিন। আবার অন্যদিকে এপ্রিলের শেষে নবান্ন অভিযান করতে চলেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আলিমুদ্দিনে বৈঠক সেরেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যেরা। এই বৈঠকে কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, সিটু সহ পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর,পার্টি কংগ্রেসের জন্য দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের বড় অংশ আগামী সপ্তাহ জুড়ে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে থাকবেন। তার আগেই ব্রিগেডের প্রস্তুতি সংক্রান্ত আলোচনা সেরে রাখছেন বিমান সেলিমরা। সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় যথাসম্ভব স্থানীয় স্তরে ব্রিগেডের প্রচার চালানোর উপরে জোর দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির আয়োজনে জেলা ও এলাকাভিত্তিক কনভেনশন চলছে। জানা যাচ্ছে,সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার নিয়ে ব্রিগেডের সভা থেকে আওয়াজ তুলতে চাইছে বাম নেতৃত্ব। তাই ব্রিগেডে সভার বক্তা-তালিকায় রাখা হয়েছে সিপিএমের খেতমজুর ইউনিয়নের নেত্রী বন্যা টুডু। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে শুরু করে দিয়েছেন সিপিএমের খেতমজুর ইউনিয়নের নেত্রী। বন্যা টুডুর অভিযোগ, আদিবাসীরা মাঠে খাটে। তাদের তৈরি চাল শহর ও গ্রামের মানুষ খায়। আদিবাসী খেতমজুরেরা কী পায় ?’’ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে দেওয়া পাট্টা তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বাধীনতার আগে লড়াই করে যে শ্রম আইনগুলি আদায় করা হয়েছে, সেগুলিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শ্রম কোডের মাধ্যমে বাতিল করে দিচ্ছে। শ্রম কোড চালু হলে শ্রমিকেরা দাস-শ্রমিকে পরিণত হবেন। দেশ জুড়ে আক্রান্ত হবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও শ্রমিকদের অধিকার।’’
এদিকে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নিজ়াম প্যালেসে একটি বৈঠক সেরে ফেলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বৈঠকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ-সহ সরকারি কর্মচারী ও চাকরি-প্রার্থীদের ১০টি মঞ্চের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, চাকরি দিতে হবে নয়তো ২০২৬-এ গদি ছাড়তে হবে— এই ডাক দিয়ে এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে নবান্ন অভিযান করা হবে। যদিও এই আন্দোলন অরাজনৈতিক ব্যানারে করতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির আইনজীবী-নেতা কৌস্তভ বাগচী এবং মঞ্চগুলির কয়েক জন প্রতিনিধিকে। শুভেন্দু অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘চাকরি-প্রার্থীরা এপ্রিল মাসে বড় আন্দোলনে নামছেন। আমি বলব না। ওঁরা ঘোষণা করবেন। আমায় যদি সঙ্গে থাকতে বলেন, আমি সামনের সারিতে থাকব।’’