
শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ বাজারে এসে গেছে নতুন আলু, অন্যদিকে হিমঘরে মজুত ৩০ লক্ষ আলুর প্যাকেট, চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। মার্চ থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত হিমঘরে আলু মজুত রাখা হয়। কোনও কোনও বছর প্রয়োজন অনুসারে সেই সময় সীমা বাড়ানো হয়ে থাকে। তেমনই গত বছর ৩০ নভেম্বরের বদলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু হিমঘরে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হিমঘরে মজুত রয়েছে ৩০ লক্ষ আলুর প্যাকেট। অন্যদিকে বাজারে চলে এসেছে নতুন আলু। তাই মজুত থাকা আলু নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আলু হিমঘর থেকে খালি করে দিতে হবে। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন হিমঘরে আলু থেকে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুকুল ঘোষ বলেন, এবিষয়ে বিভিন্ন দফতরে ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছি কিন্তু রাজ্যের তরফ থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। কেন মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়াকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। যার ফলে কৃষকদেরও সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে।