
গোপাল শীল, ওঙ্কার বাংলা: ১২ জন বাংলাদেশীর জীবন বাঁচিয়ে কেরলে সম্মানিত কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী প্রাণকৃষ্ণ দাস। কোচি স্টেডিয়ামে ভারত সরকারের উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। ‘সার্চ এ্যান্ড রেসকিউ অ্যাওয়ার্ড ফর ফিশারম্যান ২০২৩-২৪’ সম্মান প্রদান করা হয় তাঁকে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মাছ ধরার জন্য কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দর থেকে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীদের একটি দল। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। এরপরই মাঝি প্রাণকৃষ্ণ ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের দিকে ফিরে আসছিলেন। সেই সময় হঠাৎই তিনি গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের চিৎকার শুনতে পান। ট্রলার নিয়ে কিছুটা এগোলেই তিনি দেখতে পান দু’জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাঁদের উদ্ধার করেন। এরপরই তিনি জানতে পারেন, আরও দশ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী সমুদ্রে ভেসে রয়েছেন। একথা শোনার পরে তিনি ট্রলার নিয়ে আবারও গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা দেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকা সত্ত্বেও সব বাধা অতিক্রম করে তিনি আরও দশ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন।
মৎস্যজীবীদের জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে পুরস্কৃত করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। সম্মান পেয়ে খুশি কাকদ্বীপের বিদ্যানগরের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ।