
প্রদীপ মাহাতো, পুরুলিয়া : পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য. তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পূর্ণিমার পেটে ক্ষতিকারক পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে খবর। তবে তা ঠিক কী, সে নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরিবারের সদস্য তথা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলার মিঠুন কান্দু এই মৃত্যু নিয়ে সরাসরি সন্দেহ প্রকাশ করেন। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে মিঠুন বলেন, “রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। তবে এই মৃত্যু যে স্বাভাবিক নয়, তা আরও স্পষ্ট হল। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় পূর্ণিমা কান্দুর. তারপর থেকে সেই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরী হয়েছিল এলাকায়. পূর্ণিমা সেদিন যে ঘরে শুয়েছিলেন সেই ঘরটি সিল করেছে পুলিশ. পাহারায় রয়েছেন সশস্ত্র পুলিশকর্মীরা.
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর,রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং পুরুলিয়ার এসপিকে চিঠি দিয়েছিলেন পূর্ণিমা. ২০২২ সালের ১৩ মার্চ ঝালদার ২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুর হত্যার পর থেকেই খবরে বার বার নাম আসে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমার। নিজেও ১২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের জন্য হাই কোর্টেও যান তিনি। ত্রিশঙ্কু হওয়া ঝালদা পুরসভার টালমাতাল পরিস্থিতির মধ্যে উপ পুরপ্রধানও হন তিনি। এর মধ্যেই একাধিকবার সংশয় প্রকাশ করেন নিজের ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হলেও পরবর্তী কালে তা তুলে নেওয়া হয় |