
প্রদীপ মাহাতো, পুরুলিয়া : দুষ্প্রাপ্য বইয়ের ভাণ্ডার কিন্তু নেই পর্যাপ্ত কর্মচারী। আবার কোথাও কর্মচারী থাকলেও নেই পর্যাপ্ত বই। রক্ষণাবেক্ষণ এবং গ্রন্থাগারিকের অভাবে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন গ্রন্থাগার পড়ে রয়েছে বেহাল দশায়। ভগ্নপ্রায় অবস্থায়, অনিয়মিত খোলা এবং বন্ধের সময়, পাঠকের অভাবে জ্ঞানের এই মন্দিরগুলো আজ প্রায় শ্মশানের মতো নিস্তব্ধ।
একই ছবি পুরুলিয়া রঘুনাথপুর মহকুমা গ্রন্থাগারের। একজন গ্রন্থাগারিকের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব পড়ায় অনিয়মিত খোলা হচ্ছে গ্রন্থাগার, যার জন্য পাঠক শূন্য হতে বসেছে গ্রন্থাগার। এর ফলে রাতে গ্রন্থাগার চত্বরে বসছে মদের আসর, যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদের বোতল।
পাঠক রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গ্রন্থাগার খোলার নির্দিষ্ট কোন দিন নেই. কখনো সপ্তাহে তিন দিন খোলা হয় আবার কখনো সারা সপ্তাহ বন্ধ থাকে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁর মতো পড়ুয়াদের
এই বিষয়ে রঘুনাথপুর মহকুমার গ্রন্থাগারিক বলেন, পাঠকদের অভিযোগ সঠিক। এই লাইব্রেরিতে চারজন লাইব্রেরিয়ান থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন একজন। সেখানে সমস্ত দায়িত্ব তাঁর একার উপর পড়ে। এর পাশাপাশি অন্য একটি লাইব্রেরিরও দায়িত্ব রয়েছে তাঁর ওপর। তাই তিনিও সমস্ত দিক সামলে উঠতে পারেন না।
এই ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির উন্নতির পাশাপাশি বেড়েছে মানুষের কর্মব্যস্ততা। ই-বুকের দিকে ধুঁকে পড়ছে বর্তমান প্রজন্ম। তাই বলে কিন্তু গ্রন্থাগারের চাহিদা ফুরোয়নি। এখনও অনেকেই নিয়ম করে লাইব্রেরিতে বই পড়তে যান। তাই নিয়মিত গ্রন্থাগার খোলা এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এলাকার পাঠকেরা গ্রন্থাগারিকের কাছে একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন। তাঁরা চান এই গ্রন্থাগার দ্রুত তার পুরনো হালে ফিরে আসুক।